লোকমান মৃধা। রিপোর্ট
পটুয়াখালীতে ফোকাস ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর উদ্যোগে যেন প্রাণ ফিরে পেল সুবিধাবঞ্চিত ও হতদরিদ্র মানুষ। মানুষের মাঝে এনেছে নতুন এক ভিন্ন মাত্রা।
করোনাভাইরাস কে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে যখন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তারদের দেখা যায় না, অন্যদিকে দিনমজুর, খেটে খাওয়া,সুবিধাবঞ্চিত ও হতদরিদ্র ফ্যামিলি গুলোর বাসায় রয়েছে খাবার সংকট, তখন চিকিৎসা ও খাবার নিয়ে প্রতিনিয়ত অবিরত ছুটে চলছে একটি মানুষ তার নাম মেহেদী হাসান শিবলী। তাকে দেখা যায় পাড়া-মহল্লায় গ্রামগঞ্জে কর্মহীন মানুষদের পাশে ত্রাণ সামগ্রী নিজ হাতে বিলি করতে। সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থা ও তো রয়েছে।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যায় বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা,তিনি নিজ উদ্যোগে,নিজ হাতে শাক সবজি বিতরণ করেন।
এদিন বিকাল ৪টায় শহরের ৪টি পয়েন্টে ২০০ পরিবারের মাঝে শাকসবজি বিতরণ করেন। শহরের ব্যামাগার সংলগ্ন হাওলাদার বাড়ি বস্তি, ঝাউতলা মুচি বাড়ি বস্তি এবং মাদারবুনিয়া আবাসন এলাকায় প্রায় ২০০ পরিবারের মাঝে এ শাক সবজি বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিতি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান ( সদর সার্কেল )
এসময় মুকতি হাসান বলেন, মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্ব আজ অস্থির। বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য নিরালশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে। এই মহামারী ভাইরাস থেকে বাচতে সকলকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে কৃষক ভাইদের ফসল উৎপাদনেে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। খাদ্য সামগ্রী স্বয়ংসম্পুর্ন থাকলে কিছুটা হলেও এই মহামারীর বিপদের সময় কাজে আসবে। সদর সার্কেল আরো বলেন যে আপনাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে আর আপনাদের সু-চিকিৎসা দেয়ার জন্য ডাক্তার সাহেব রা প্রস্তুত রয়েছেন আর আপনাদের সুবিধা অসুবিধা সকলকে জানাতে মাঠে কাজ করছে গণমাধ্যমকর্মীরা। আমরা আপনাদের কাছে শুধু এতোটুকুই চাচ্ছি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যার যার বাসায় থাকুন দেশটাকে বাঁচান।
ফোকাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শিবলী বলেন, খেটে খাওয়া হতদরিদ্র এই মানুষগুলোর বিপদের মূহুর্তে পাশে থাকা প্রতিটি বিত্তবানদের কর্তব্য বলে আমি মনে করি।